আমার যাত্রা

১৯৭২ সালের মে মাসে আমি ইংল্যান্ডে আসি। আমি বার্মিংহামে, হ্যাগলি রোডের আশেপাশে কোথাও আমার কাজের যাত্রা শুরু করি, । আমি যখন সেখানে কাজ করছিলাম তখন ঢাকা থেকে আসা অনেক ছাত্রের সাথে দেখা হয়েছিল। কাজ চলার সাথে সাথে রাজনীতি নিয়ে আমাদের অনেক কথোপকথন হয়েছিল। ‘ডেক্রোম্যাসি কী?’, ‘স্বাধীনতা থেকে আমরা কী লাভ করব?’, ‘সমাজতন্ত্র কী?’ ছাত্ররা প্রায়ই আমাকে এই প্রশ্নগুলো করত কিন্তু তখন আমার কাছে কোনো উত্তর ছিল না।

অবশেষে আমি রাজনীতিতে পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠি। লেনিন এবং মাও-এর সমাজতন্ত্রের উপর বই আমি কিনি কিন্তু  আমি দেখেছি যে সেগুলিকে ততটা উপভোগ করিনি। আমি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এই ধরনের বই পড়তে থাকি এবং পিছনে ফিরে তাকাই। আমি এই ধরণের বই গুলো পড়ে দেখলাম কিছুই লাভ করিনি। তবুও আমি পড়া ছেড়ে দেইনি, নিউটাউনের পাউইসে আমার ব্যবসা চালানোর সময় আমি বই পড়া চালিয়ে যাই। আমি নিজেকে কর্মক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত বলে মনে করেছি কারণ আমার মন আক্ষরিক অর্থেই সবসময় রাজনীতিতে ছিল।

১৯৮২ সালে আমি আমার দেশ বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছিলাম এবং সেখানে থাকাকালীন আমি একটি বই কিনেছিলাম, আমি বইটির নাম মনে করতে পারি না, বেশ কিছু দিন হয়ে গেছে তবে এটি শেষ করার পরে আমি আমার সাথে যে নৈতিকতা নিয়ে গিয়েছিলাম তা ছিল ‘এটি অপ্রতিষ্ঠিত সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রের চেয়ে প্রতিষ্ঠিত পুঁজিবাদ ভালো’। বইটি পড়ার পর আমি ভেবেছিলাম যে আমি ইংল্যান্ডে বাস করছি এবং আমার  দেশটি সম্পূর্ণ পুঁজিবাদ এবং খুব সুপ্রতিষ্ঠিত কল্যাণ রাষ্ট্র। যা সমাজতন্ত্র প্রকাশ করবে।